নিউজ ডেস্কঃ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে মারধরের রোগী স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনের আহবায়ক মহানগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালি পংকী।
এক বিবৃতিতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে মারধরের ঘটনায় সংগঠনের পক্ষ থেকে নিন্দা জানান। এই চিকিৎসকের অতীতের শিক্ষাজীবনসহ ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানান রোগী স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী।
ইতিমধ্যে এই চিকিৎসককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি। সোমবার বিকেলে হাসপাতালের উপ-পরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত রোববার সুনামগঞ্জের জুবায়ের আহমদ নামের এক রোগীকে নিয়ে তার বন্ধু মিজান আহমদ চিকিৎসক তন্ময় দেবনাথের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়ান। এক পর্যায়ে চিকিৎসক মিজানকে লাথি মারেন। এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে নানা মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, চিকিৎসক তন্ময় দেবনাথ একজন স্নাতকোত্তর ‘ফেজ-বি’-এর আবাসিক শিক্ষার্থী। রোগীর স্বজনকে মারধরের ঘটনার পর, হাসপাতালের পরিচালক ঘটনাটি তদন্তের জন্য একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন। একইসঙ্গে, চিকিৎসক তন্ময় দেবনাথকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের উপপরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা তদন্তের ন মাধ্যমে পুরো বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবো। এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’ এ ঘটনায় চিকিৎসক তন্ময় দেবনাথকে আপাতত তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান।
Leave a Reply