নিউজ ডেস্কঃ প্রায় দেড় যুগ পর ঐতিহাসিক সিলেট সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে কর্মী সম্মেলন করতে যাচ্ছে সিলেট জেলা জামায়াত। আগামী শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় উক্ত কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান। কর্মী সম্মেলন ঘিরে জামায়াতের সর্বস্তরের জনশক্তির মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। সম্মেলন সফলে উপজেলা পৌরসভা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে চলছে দাওয়াতী কার্যক্রম।
এদিকে শুক্রবারের (১৩ ডিসেম্বর) কর্মী সম্মেলনকে সামনে রেখে সিলেটের সাংবাদিকদের সাথে মতবনিমিয় করেছে সিলেট জেলা জামায়াত। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় সিলেট নগরীর কুদরত উল্লাহ মার্কেটস্থ জেলা জামায়াত কার্যালয়ে উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কর্মী সম্মেলনকে সামনে রেখে সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও সিলেট জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান। মতবিনিময় সভায় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং সম্মেলন সফলে সাংবাদিক সমাজের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। মতবিনিময় সভায় সিলেটে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় সিলেট জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে, স্বৈরাচারী হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এর সম্পুর্ণ কৃতিত্ব ছাত্র-জনতার। যাদের জীবনের বিনিময়ে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং আহত সকলের সুস্থতা কামনা করছি। তাদের এই আত্মত্যাগ জাতি আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে, সভা সমাবেশ করতে পারছে। জামায়াতও সেই স্বাধীনতা ভোগ করছে। দীর্ঘ দেড়যুগ পর আমরা আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে কর্মী সম্মেলন করতে যাচ্ছি। সম্মেলন সফলে আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশী নির্যাতিত হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম ও ইসলামী ছাত্রশিবির। আমাদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ফাঁসি দিয়ে শহীদ করা হয়েছে। হাজার নেতাকর্মীকে হামলা-মামলা, গ্রেফতার-নির্যাতন করা হয়েছে। কিন্তু আমাদেরকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। প্রতিবেশী দেশ নানাভাবে আমাদের দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু এর বিরুদ্ধে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য আরো সুদৃঢ় হয়েছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জামায়াতে ইসলামী অতন্দ্র প্রহরীর ভুমিকা পালন করবে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ও সাবেক জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা মাসুক আহমদ, জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য সাবেক ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ আল হোসাইন, জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক গোলাপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজ নজমুল ইসলাম, জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাস্টার আব্দুল কুদ্দুস, হাকিম নাজিম উদ্দিন ও আব্দুল কাইয়ুম প্রমূখ।
Leave a Reply