নিউজ ডেস্কঃ দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ২০২৪-২৫ সালের অনির্বাচিত ও অবৈধ পরিচালনা কমিটি বিলুপ্ত করে নির্বাচিত কমিটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে ৪ দিনের আল্টিমেটাম প্রদান করেছেন সিলেটের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা। তারা অবিলম্বে দায়িত্বরতদের পদত্যাগ করে সিলেট চেম্বারে প্রশাসক নিয়োগ করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি বৈধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে সিলেটের আপামর ব্যবসায়ীদের প্রাণের দাবি বাস্তবায়নের আহবান জানান। অন্যথায় আগামী বৃহস্পতিবার সিলেটের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুশিয়ারি প্রদান করেন।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট নগরীর জেলরোডস্থ সিলেট চেম্বার সংলগ্ন সড়কে নগরীর সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এসব প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সিলেট চেম্বারের সাবেক পরিচালক আমিরুজ্জামান চৌধুরী দুলুর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সিলেট জেলা শাখার মহাসচিব ও সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান রিপনের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সূচিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের একটি আশা-আকাঙ্খার প্রতীক এবং অভিভাবক সংগঠন। সিলেটের সাধারণ ব্যবসায়ীদের ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনকে তারা নিজেদের ভরসার একটি কেন্দ্রবিন্দু বলে ভাবতেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে একটি মহল অবৈধ ও অগণতান্ত্রিকভাবে সিলেট চেম্বারের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে এই প্রতিষ্ঠানের মান-মর্যাদা ক্ষুন্ন করে যাচ্ছেন। বারবার রাজপথে সিলেটের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে ক্ষমতা আকঁড়ে ধরে থাকাদের পদত্যাগের দাবি জানানো হলেও তারা নির্লজ্জভাবে ক্ষমতা দখল করে লুকোচুরি খেলায় মেতে ওঠেছেন। বক্তারা ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন চেম্বারের অবৈধ সদস্যরা ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে আছেন। নির্লজ্জভাবে তারা চেম্বারকে বিতর্কিত করে তুলছেন। তারা উত্থান দেখেছেন পতন দেখেন নি। তারা বলেন চেম্বার যেখানে সাধারণ ব্যবসায়ীদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার কথা সেখানে উল্টো তারা ব্যবসায়ীদের কল্যাণে কাজ না করে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত রয়েছেন। ব্যবসায়ীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সাধারণ ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন তাদের খুটির জোঁর কোথায়? তারা কিভাবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীদের অবহেলা এবং তাদের দাবি উপেক্ষা করে নির্লজ্জভাবে বসে আছেন। তারা জনতার জোয়ার দেখেন নি। পৃথিবীতে কোনো স্বৈরতন্ত্র জনতার কাছে টিকে থাকতে পারেনি। তারাও পারবে না। সিলেটের ব্যবসায়ীরা ধৈর্য্যরে সাথে তাদের ন্যায্য দাবির পক্ষে কথা বলছেন। তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। অন্যথায় বিষয়টির দফারফা করা এক মিনেটেরও ব্যাপার নয়। বক্তারা আরো বলেন, ইতোমধ্যে ৫জন পরিচালক অবৈধ এ কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন কিন্তু অন্যান্য ‘লোভী’ পরিচালকরা সাধারণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে লুকোচুরির আশ্রয় নিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য ক্ষমতা দখলকারীদের প্রদত্ত আল্টিমেটাম পুনর্ব্যক্ত করেন। বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ সংগঠনের ব্যানার নিয়ে খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে মানববন্ধন কর্মসূচিতে যোগদান করেন।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- সিলেট চেম্বারের সাবেক সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদ, আল-হামরা শপিং সিটি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শামসুল আলম, মধুবন সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী আকিক, জালালাবাদ ভেজিটেবল ট্রেড সুপার মার্কেটের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আব্দুল মুনিম মল্লিক মুন্না, আব্দুল হাদী পাবেল, সাবেক পরিচালক এনামুল কুদ্দুস চৌধুরী, সাবেক পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সিলেট প্লাজা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, শাহ জাকির আহমদ, সিলেট ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুজ্জামান চৌধুরী, অলিউর রহমান আব্দুল মান্নান, করিম উল্লাহ মার্কেটের আব্দুল কাইয়ূম, নয়া সড়ক বিজনেস এসোসিয়েশনের হোসেন আহমদ, ভেজিটেবল ট্রেড সেন্টার সিলেটের সভাপতি ছাদ মিয়া, দরগাহ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি লুৎফুর রহমান লিলু, মোতলিব ভিলা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফিরুজ উদ্দিন, লালদিঘিরপাড় হকার্স মার্কেটের শাহ জামান, মিতালী ম্যানশন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অলিউর রহমান চৌধুরী, নুরুল আলম, ফরহাদ বিন রশিদ, সিলেট মোটর পার্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজওয়ান আহমদ, বিসিক মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম মুনিম, মহাজন পট্টির রাসেল আহমদ, মোটর পার্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম আনু, হাজী নওয়াব আলী মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমদ, এলিগেন্ট মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির, সিটি সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন চৌধুরী, মো. লায়েক মিয়া, কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির আবুল কালাম, সিলেট জেলা ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, ওয়েস্ট ওলার্ল্ড ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অলিউর রহমান সাদ্দাম, জুবায়ের রাব্বি চৌধুরী, নুরুল আলম, মোহাম্মাদ আলিফুল ইসলাম, মো. গোলাম কিবরিয়া, মো. আরিফ হোসেন, মো. কামাল হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে অংশ নেয়- ভেজিটেবল ট্রেড সেন্টার ব্যবসায়ী সমিতি , ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এন্ড বিজনেসম্যান ওয়েলফেয়ার ফেডারেশন, লালদিঘিরপাড় পুরাতন হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি, নিউ শ্যামলী শপিং সেন্টার ব্যবসায়ী সমিতি, সিলেট জেলা ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী সমিতি, দর্শণ দেউড়ী ব্যবসায়ী সমিতি, সিলেট জেলা ফুল ব্যবসায়ী সমিতি, করিম উল্লাহ মার্কেট ব্যাবসায়ী কল্যাণ সমিতি, হাসান মার্কেট দোকান মালিক সমিতি, নয়া সড়ক বিজনেস এসোসিয়েশন, মহাজন পট্টি ব্যবসায়ী সমিতি, সিলেট সিটি সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি, ওরিয়েন্টাল মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি, শোকরিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি, হাজী নওয়াব আলী সবজি মার্কেট, জাতীয় ক্ষুদ্র কুটিঁর শিল্প ব্যবসায়ী সমিতি, বিসিক শিল্প মালিক সমিদি, মধুবন সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি, বাংলাদেশ মটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতি, দক্ষিণ সুরমা কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি, শোকরিয়া মাকেট ব্যবসায়ী সমিতি, সিলেট মিলেনিয়াম শপিং কমপ্লেক্স ব্যবাসয়ী সমিতি, ওয়েস্ট ওয়ার্ল্ড মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতিসহ সিলেটের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন।
Leave a Reply