মো. আব্দুল হাছিবঃ সিলেট নগরীর চৌহাট্টায় আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ৩১শে আগষ্ট থেকে শুরু হওয়া বৃক্ষ মেলা জমে উঠেনি। ধারনা করা হচ্ছে সিলেটে কয়েক দফা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দেরিতে মেলা শুরু হওয়া বিভিন্ন কারনে এখনও মেলা জমে উঠেনি। রবিবার সরেজমিনে বৃক্ষমেলায় গেলে দেখা যায় যে, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীরা, সরকারি, বেসরকারি চাকুরীজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বিভিন্ন জাতের গাছের চারা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন।
সিলেট বন বিভাগের উদ্যোগে নগরীর সিলেট এগ্রো হাউজ, এগ্রোসিল নার্সারি, অর্কিড নার্সারি, সিলেট নার্সারি, জননী নার্সারি, শামিম নার্সারি, আবজল নার্সারি, সুগন্ধা নার্সারি, আলিফ নার্সারি, সবুজ বন নার্সারি, জালালিয়া নার্সারি, আনন্দ নার্সারি, নুরে মদিনা নার্সারি, এগ্রো সার্ভিস সেন্টার, শ্যামল উদ্যান নার্সারি, ভাই ভাই নার্সারি, তানজিলা নার্সারি, সোহান নার্সারি, জেএম ট্রফিক্যাল ফুড পার্কসহ ২১টি নার্সারির অংশগ্রহনে ও সিলেট জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এই মেলা ১৪ই সেপ্টেম্বর শেষ হবে। প্রতিদিনই সিলেট বন বিভাগের উচ্চ পদস্থ কোনো না কোনো কর্মকর্তা সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলায় দায়িত্ব পালন করেন। রবিবারে সুনামগঞ্জের ফরেস্টার মোহাম্মদ দীন ইসলামকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
বৃক্ষমেলায় ঘুরে আলাপকালে সোহান নার্সারির মোহাম্মদ মিলন বলেন, আমি ১২ হাজার টাকা দিয়ে স্টল নিয়েছি। নুরে মদিনা নার্সারির মালিক মিজানুর রহমান স্টল বাবৎ ২০হাজার টাকা সবুজ বন নার্সারির মালিক ইমন আহমদ শিফাত ১৫হাজার টাকা, আলিফ নার্সারি ১০হাজার টাকা, অর্কিড নার্সারির মালিক ১০হাজার টাকাসহ এভাবে সকল নার্সারি থেকে চাঁদা আদায় করেছে সিলেট নার্সারি মালিক সমিতি। সিলেট বন বিভাগ উদ্যোগ নিয়েছে ও স্টল নির্মান করে দিয়েছে ও জেলা প্রশাসন সহযোগিতা করতেছে এরপরেও কেন চাঁদা আদায় করা হচ্ছে সিলেট নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি ও এগ্রোসিল নার্সারির মালিক আলমগীর হোসেন জানান, আমাদের ব্যবস্থাপনার খরচ রয়েছে। মূলত ব্যবস্থাপনার উল্লেখযোগ্য কোনো খরচের খাত দেখাতে পারেননি। এ ব্যাপারে সিলেট বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ নাজমুল আলম বলেন, আমি বিষয়টি জানিনা। আমি জেনে দ্রুত ব্যবস্থা নেবো৷
মেলায় ঘুরে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে সোহান নাসারি মোঃ মিলন জানান, ফলজ, ঔষধি ও শোভা বর্ধক ফুল বিক্রি হচ্ছে। তানজিলা নার্সারির মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, ফুলের আইটেম ও শোভাবর্ধন বিভিন্ন জাতের ফুল বেশি বিক্রি হচ্ছে।
এয়ারপোর্ট রোডে সাহেব বাজার এলাকার জেএম ট্রফিক্যাল ফুডপার্কের প্রতিনিধি তাফিমুল আরেফিন চৌধুরী তানিফ জানান, ১২শ প্রজাতির ফলফসলের চারা রয়েছে। শুধু ৩০০জাতের উন্নত আমের চারা, ২০০প্রজাতির মাল্টা, কমলা, জাম্বুরার চারা রয়েছে। এছাড়াও সারা বছর ফসল ধরে এ ধরনের অনেক প্রজাতির গাছের চারা কাছে রয়েছে। আবার কেউ ফলের বাগান ও চাদ বাগান করতে চাইলে আমরা সহযোগিতা করে থাকি৷ ৯বছর আগে প্রকৌশলী জুয়েল আহমদ চৌধুরী এই বাগানটি গড়ে তুলেছেন৷ এছাড়া বিভিন্ন স্টলে ডালিম, আম, জাম, কাঠাল, মাল্টা, মরিচ, লেবু, নারিকেল, বারমাসি ফল ও একই গাছে বিভিন্ন জাতের ফল ধরে এমন গাছের চারা রয়েছে।
Leave a Reply